মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেল একটি পরিবার

ভোলা প্রতিনিধি

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেল একটি পরিবার

অবিশ্বাস, দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহে যখন কুল কিনারা পাচ্ছেন না তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ  আয়শা বেগম। তখন সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য দ্বারস্থ হন জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের। 

ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক গত বুধবার স্বামী মো.আলাউদ্দিন ও আয়শা বেগমকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে তিনি উভয়পক্ষের কথা শুনেন এবং ৩ সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামী-স্ত্রীকে বুজিয়ে শুনিয়ে  মীমাংস করে দেন। এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর জেলা শহরের অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসককে। 

স্ত্রী আয়শা বেগম বলেন, আমরা দুজন একজন আরেকজনের প্রতি সন্দেহ করতাম। সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। ডিসি স্যারের সহযোগিতা চাইলে তিনি আমাদের ডেকে মিলিয়ে দিয়েছেন। আমরা এখন সুখের সংসার করবো। স্বামী আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমলিন্য ও ভুল বুঝাবুঝি চলছিলো। 

ডিসি স্যার আমাদের মিলিয়ে দিয়েছে। এখন আর আমাদের মধ্যে কোন মনোমালিন্য ও ভুল বুঝাবুঝি থাকবে না। আগামী দিনগুলোতে আমরা দুজন মিলে সুখে শান্তিতে সংসার করবো ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয় ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, ভুল বুঝাবুঝির কারণে অনেক সংসার ভেঙে যায়। এতে দুটি পরিবার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আয়শা বেগম তার সংসারের অশান্তি ও সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করলে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বামী-স্ত্রীকে ডেকে এনে উভয়ের কথা শুনেছি। 

পরে তাদের ৩ সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে মিলিয়ে দিয়েছি। দুজনে যাতে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও মহব্বত সৃষ্টি হয় এবং সংসার যাতে সুখে-শান্তিতে করতে পারে সে জন্য পরামর্শ দিয়েছি। 

তিনি বলেন,  সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট হয়। তাই চেষ্টা করেছি এই দম্পত্তিকে মিলিয়ে দিয়ে তারা সংসার যাতে সুখে শান্তিতে করতে পারে। 

টিএইচ