মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন খালাস ১০

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন খালাস ১০

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

তবে এই মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল ৩ ( ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাইসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। 

মামলার প্রায় এক যুগ পর রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন কবীর হোসেন ও মোহাম্মদ আলী। কারাদণ্ড ছাড়াও আদালত দুই সাজাপ্রাপ্তকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানার দণ্ড এবং তা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আ.লীগের তৎকালীন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আ.লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ছোট তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, টাঙ্গাইল চেম্বারস অব কমার্সের সাবেক সভাপতি জাহিদুর রহমানখান কাঁকন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ডিবির তৎকালীন ওসি গোলাম মাহফীজুর রহমান। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।

বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিছুর রহমান ওরফে রাজা এবং মোহাম্মদ সমির কারাগারে মারা যান। মামলায় মোট ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
গত ২৬ জানুয়ারি মামলার বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়।

টিএইচ