কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পিএম (ফিলিপনগর-মরিচা) কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান মাসুমের করা মামলায় সোমবার (১৯ মে) তাকে ও তার ভাই কলেজের নৈশ প্রহরী ইউনুস আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, পিএম কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা আ.লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কলেজের ছাত্র ও এলাকাবাসীর তোপরে মুখে সে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী, কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও কলেজ কতৃপক্ষ পিএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউর রহমান মাসুমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন।
এরপর থেকে পলাতক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান মাসুমকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ১৪মে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান মাসুম কলেজে গেলে পলাতক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ও তার লোকজন তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ল্যাপটপ, নগদ টাকা, রেজুলেশন বই, শিক্ষক-শিক্ষিকার হাজিরা খাতাসহ গুরুত্বপুর্ণ নথিপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান মাসুম বাদী হয়ে পলাতক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানকে প্রধান আসামি করে ১৭মে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করেন যার নং-২৭। ফৌজদারী অপরাধে করা মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭/৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন, ফিলিপনগর গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে পলাতক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মান্নানের ছোটভাই পিএম কলেজের নৈশ প্রহরী মো. ইউনুস আলী এবং একই গ্রামের একরেজ প্রামানিকের ছেলে কলেজের ডে গার্ড মো. মেহেদী।
মামলার সূত্র ধরে দৌলতপুর থানা পুলিশ সোমবার (১৯ মে) কুষ্টিয়ার মজমপুর এলাকার বাসা থেকে অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মান্নান ও তার ভাই নৈশ প্রহরী মো. ইউনুস আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, পিএম কলেজের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের করা মামলায় অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ও তার ভাই নৈশ প্রহরী ইউনুস আলী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
টিএইচ