বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Post

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনরা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনরা

২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বর বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাসপাতালের প্রধান ফটক, জরুরি বিভাগের সামনে ও হাসপাতালের সামনের সড়কে হাটু পানি জমেছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। কুমারখালীর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আরও কয়েক দিন বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সোমবার গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি পর হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশ রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সবখানেই হাঁটু পানি জমে আছে। অনেকেই যানবাহনে ভিজে  রোগী নিয়ে  হাসপাতালে ঢুকছেন।

দৌলতপুর থেকে আসা রোগীর স্বজন আমেন খাতুন বলেন, রোগী নিয়ে বহু কষ্ট করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে একটু উন্নত চিকিৎসার জন্য আসলেও এখানে পানির কারণে অনেক কষ্ট করে হাসপাতালে ঢুকতে হয়েছে। চারিদিকে থৈ থৈ পানি। চলাচল করতে পাছি না। পানির মধ্যেই চলাচল করতে হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বর নিচু এবং যে ড্রেন আছে তা দিয়ে পানি বের হতে না পাড়ায় এই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বর উঁচু এবং রাস্তার পানি দ্রুত বের হবার ব্যবস্থা থাকলে এ দুর্ভোগ হতো না।

এ সময় দেখা যায় অনেক নারী পুরুষ ও শিশু রোগী  পানিতে ভিজে জুতা খুলে পানি ঠেলেই এগিয়ে যাচ্ছে। সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। ভেড়ামারা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রফিকুল বলেন,  তিনি সকালে ডাক্তারের কাছে ভিজে ভিজে গেছি।

এখন আবার ওষুধ কিনতে পানিতে ভিজতে হচ্ছে।  তিনি বলেন, দ্রুত পানি বের করার প্রয়োজন। তা না হলে বর্ষা জুড়েই রোগী ও স্বজনদের এই ভোগান্তি  পোহাতে হবে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়কের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে বৃষ্টির ফলে শুধু হাসপাতাল চত্বরই নয় শহরের অলিগলিতে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের কোর্টপাড়া, সরকারি কলেজ, কোর্ট স্টেশন এলাকা, আমলাপাড়া, কুঠিপাড়া, থানাপাড়ার রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। ফলে শহরে চলাচল করা খুবিই কষ্টের মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এর পর অটো ও রিক্সা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।

কুষ্টিয়া পৌরসভার কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছে। পৌর কতৃপক্ষ যদি সঠিকভাবে পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করতো তা হলে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতো না। তবে  পৗর কতৃপক্ষ বলছেন আর বৃষ্টি না হলে দ্রুতই পানি নেমে যাবে। পৌরসভার ড্রেনের ময়লা পরিস্কার কাজ চলছে।

টিএইচ