নাটোরের লালপুরে পদ্মানদীতে সাঁতার শিখতে গিয়ে ডুবে নিখোঁজ দুজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলো- দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া জামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও একই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে ফরিদ (১২) এবং ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দরিল্লা গ্রামের গোলাম রাব্বানি (১২)।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) লালপুর ফায়ার সার্ভিস ও রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে নদী থেকে তাদের দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া জামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আল-আমিন হোসেন মাদ্রাসার ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে নওপাড়া বাজারের নিচে পদ্মানদীর ঘাট এলাকায় সাঁতার শিখতে নদীতে নামেন।
এ সময় নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় শিক্ষার্থী ফরিদ ও রাব্বানি পানিতে তলিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে লালপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও রাজশাহী থেকে ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
লালপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার এ কে এম লতিফুল বারী বলেন, অভিযান চালিয়ে দুজন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে লালপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লালপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আন হয়েছে। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক আল-আমিন হোসেন পলাতক রয়েছেন।
টিএইচ