পটুয়াখালীর বাউফলে হত্যা মামলায় ২৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এনামুল করিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. হাফিজুর রহমান, তোফায়েল সরদার, মো. শামীম সরদার, এলমাছ সরদার, মো. সোহরাব সরদার, মো. নাঈম মল্লিক, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, মুসা সরদার, সামসু সরদার, মাওলা সরদার, ইউসুফ সরদার, ফরিদ আহম্মেদ, জসিম সরদার, বাবলু, মো. ডালিম তালুকদার, মো. ফিরোজ সিকদার, হাসান গাজী, সেকান্দার সরদার, মো. জামাল, শামীম হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম বাবুল, মন্টু সরদার এবং মো. দুলাল সরদার ওরফে ভয়। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিকের বাড়িতে হামলা চালান আসামিরা। ওই হামলায় সোহেলের বাবা আব্দুল ওহাব মল্লিক গুরুতর আহত হন। পরদিন ২১ মার্চ তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিক বাদী হয়ে বাউফল থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালে মামলার চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সাত বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত গত সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী সাইদুর রহমান সোহেল বলেন, আমার বাবা হত্যার দীর্ঘদিন পর আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। এখন আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাড. মো. ফরিদ হোসেন বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো অপরাধীই আইনের হাত থেকে রেহাই পায় না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি।
তবে আসামিদের পরিবার এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা দাবি করেন, এ রায় একপেশে ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। প্রকৃত অপরাধীরা আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
টিএইচ