খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার ছয় ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে ভিকটিম শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে রাত ৩টার দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরোফিন জুয়েল।
গ্রেপ্তাররা হলো— খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের আরমান হোসেন (৩২), ইমন হোসেন (২৫), এনায়েত হোসেন (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (৩২)। মামলার অন্য দুই আসামি মো. সোহেল ইসলাম (২৩) ও মো. মুনির ইসলাম (২৯) পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) গত ২৭ জুন রথযাত্রা মেলায় অংশ নেয়ার পর রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেই গভীর রাতে ছয়জন যুবক জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তার আত্মীয়কে বেঁধে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, সামাজিক লজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে মেয়েটি প্রথমে কিছু প্রকাশ করেনি। কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত ১২ জুলাই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের জিজ্ঞাসায় স্কুল শিক্ষার্থী ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। ভুক্তভোগী কিশোরী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, ‘শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরোফিন জুয়েল বলেন, ‘মামলা হওয়ার পরপরই আমরা চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দু’জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী কিশোরী এখন হাসপাতালে আছেন, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ