শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে মাগুরা পৌরসভার উদ্যোগ

মাগুরা প্রতিনিধি

প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে মাগুরা পৌরসভার উদ্যোগ

পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাগুরা পৌরসভা সমপ্রতি চালু করেছে একটি বিশেষ প্রকল্প প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত ব্যতিক্রমধর্মী ‘বিন’। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্থাপন করা এই বিশাল বোতল-আকৃতির লোহার খাঁচাগুলোতে পথচারীরা তাদের ব্যবহূত প্লাস্টিক বোতল ফেলে দিতে পারছেন সহজেই।

মাগুরা পৌরসভার এই পদক্ষেপটি শহরের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি দৃষ্টান্তমূলক প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে এ নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। দোকানদার থেকে শুরু করে পথচারীরা বলছেন, এ উদ্যোগ তাদের প্লাস্টিক বোতল রাস্তায় না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে উদ্বুদ্ধ করছে।

উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্যে রয়েছে, প্লাস্টিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ দেয়া। পরিবেশ দূষণ কমানো। জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

মাগুরা পৌরসভার নির্বাহী আহসান বারী জানান, আমরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং পরিবেশবান্ধব করতে জনগণের সহায়তা কামনা করছি। প্রত্যেকটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে সঠিকভাবে বর্জ্য ফেলা এবং রিসাইক্লিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার।

স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল বলেন, আগে রাস্তায় বোতল পড়ে থাকত, এখন সবাই বোতলটি এই বিনে ফেলে দেয়। এতে পরিবেশ সুন্দর থাকছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, আগামীতে শহরের স্কুল-কলেজ ও পার্ক এলাকায়ও এই ধরণের বর্জ্য সংগ্রহ বিন বসানো হবে এবং প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে মাগুরার পরিবেশ সচেতন নাগরিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) পৌরসভা প্রশাসক আব্দুল কাদের বলেন, আমরা মাগুরাকে একটি পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।

প্লাস্টিক বর্জ্য আমাদের পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি। তাই আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে বোতল-আকৃতির প্লাস্টিক বর্জ্য বিন স্থাপন করেছি যাতে নাগরিকরা সচেতনভাবে ব্যবহূত বোতল ফেলে দিতে পারে। এই উদ্যোগ শুধু শহরকে পরিষ্কার রাখবে না, বরং রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের কাজেও ভূমিকা রাখবে। আমরা চাই প্রত্যেক নাগরিক এই কার্যক্রমে অংশ নিক এবং নিজেরা যেমন সচেতন হোক, অন্যকেও সচেতন করুক।

টিএইচ