রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Post

ফেনীতে বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি কমছে বাড়ছে দুর্ভোগ

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি কমছে বাড়ছে দুর্ভোগ

ফেনীতে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজানের পানিতে সৃষ্ট বন্যার পানি পরশুরাম ও ফুলগাজীর কিছু এলাকায় কমতে শুরু করলেও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। শনিবার (১২ জুলাই) দুর্গত এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।

২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যার বছর না পার হতে এবারও মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একের পর এক জনপদ। তলিয়ে যায় বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট। পানিবন্দি হয়ে পড়েন ১১২ গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ।

গত দুদিনে বন্যা কবলিত নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যার পানি নামার সঙ্গে ভেসে উঠেছে ক্ষতচিহ্ন। অনেক এলাকায় খাদ্য ও নিরাপদ পানির সংকটে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হওয়া পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার কোথাও কোথাও এখনো পানি রয়েছে। সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষজন ফিরতে শুরু করেছেন। ফুলগাজী উপজেলায় বন্যার পানি কমলেও পানি নামছে ধীরগতিতে। এছাড়া ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা এলাকার আংশিক অংশে এখনো পানি নামেনি। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুসমান পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বাঁধ ভাঙনে গত মঙ্গলবার থেকে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ দুই উপজেলায় পানি কমে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার আংশিক এলাকা। প্লাবিত ১১২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

এছাড়া ৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছে। দুর্গত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ২৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, পরশুরাম, ফুলগাজী অংশে নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার পরেই বাঁধের ভাঙন স্থান মেরামতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার রাতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অন্তর্বতীকালীন সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম কথা বলেছেন। জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

টিএইচ