কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দীর্ঘ ১৭ বছর পর কলেজছাত্র হত্যায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) জেলার ৩য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন, ভৈরব উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামের শাকিল উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর দৌলতদিয়া গ্রামের মো. কাইয়ুম সরকারে স্ত্রী সেলিনা বেগম ও একই জেলার আশুগঞ্জ সোনারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে শোভা প্রকাশ। রায় ঘোষণার সময় সেলিনা বেগম ছাড়া বাকি দুজন পলাতক। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
নিহত মোহাম্মদ আলী ভৈরবের সরকারি হাজী আসমত কলেজে বিএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি কলেজ ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করতেন। তিনি জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়া এলাকার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মো. জালাল উদ্দিন জানান, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদ আলী ও তার বন্ধু মুরাদ ভৈরব হাজী আসমত সরকারি কলেজ গেটের ভেতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা দুজনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
এ সময় অন্য ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করে ভৈরবের মাতৃকা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মুরাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা।
এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা সামছুদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি ভৈরব থানায় মামলা করেন।
টিএইচ