সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামী তার নিজের গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আহত যুবক মোতালেব হোসেনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) পুলিশ নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ভোর রাতে সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোজিনা খাতুন সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের আব্দুল আজিজ মেয়ে ও মোতালেবের স্ত্রী।
আহত স্বামী মোতালেব হোসেন বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকের কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত রোজিনার চাচাতো ভাই জাহিদ হাসান বলেন, রোজিনা ও মোতালেব হোসেন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তিন বছর আগে বিয়ে করেন। মোতালেবের পরিবার বিয়েটি মেনে না নেয়ায় বিয়ের পর থেকে সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের শ্বশুড় বাড়িতেই থাকতেন মোতালেব।
গত ৬ দিন আগে ফেনী জেলা থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষ করে বাড়িতে আসলে মোতালেব ও রোজিনার মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয় পরে নিজের রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আড়াইটার দিকে পাশে ঘর থেকে রোজিনার ভাতিজা বায়জিদ কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে রোজিনার ৮ মাসের ছোট বাচ্চা কান্নাকাটি করছে এবং তার ফুফুর গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ বিছানার ওপর পড়ে আছে। পাশে তার ফুফা আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছে।
পরবর্তীতে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা খুলে ভিকটিমকে গলাকাটা রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। নিহতের স্বামী মোতালেব হোসেনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহ থেকেই হত্যকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
টিএইচ