রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

সোমেশ্বরী নদীর চর কেটে মাটি বাণিজ্যের অভিযোগ

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সোমেশ্বরী নদীর চর কেটে মাটি বাণিজ্যের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় অবৈধভাবে সোমেশ্বরী নদীর তীর ও চর কেটে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে মাটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ মাটি কারবারে অভিযুক্ত মধ্যনগর উপজেলা  আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মধ্যনগর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের। তিনি প্রায় ২০ দিন ধরে সোমেশ্বরী নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছেন।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নাব্য সংকটে সোমেশ্বরী নদীর চর জেগে উঠেছে। সেই চর থেকে খননযন্ত্র দিয়ে অবাধে মাটি কেটে বিক্রি করছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। একই সঙ্গে নদীর পাড় ও তীর থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ট্রাক দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। মাটি কাটার বিরূপ প্রভাব এখন পড়ছে না। 

তবে বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পেলে মাটি কাটার বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল স্রোতে ভাঙন দেখা দিতে পারে। তখন নদী তীরের আবাদি জমি, বসতবাড়ি ও দোকানসহ ভাঙনের কবলে পড়বে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 
মধ্যনগর এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের  প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় মাটি কেটে বিক্রি করছেন। তবে ওই মাটি বাণিজ্যের বন্ধের দাবি করছি।

এ বিষয়ে মাটি কারবারি আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, মধ্যনগর সরকারি ব্রিজের এফরোজের কাজটি আমি মাটিভরাটের জন্য কুটেশনে পেয়েছি। তাই নদীর চর থেকে মাটিকাটার মেশিন দিয়ে মাটিকেটে ড্রামট্রাকে করে নিয়ে ব্রিজে দিচ্ছি। এছাড়া মাটি অন্য জায়গায় বিক্রি করিনি। 

পলি পড়ে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাই নদীর পানি প্রবাহ তৈরির করার জন্য চর থেকে মাটি কেটে নিচ্ছি। এতে বসতবাড়ি কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হবে না। তবে মাটিকাটার জন্য কোন সরকারি আদেশ নেইনি। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, আমি সুনামগঞ্জ জেলা মেটিংয়ের জন্য এসেছি, আগামীকাল এসে এর বিরুদ্ধে আইনি  ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহ বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এ রকম ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন,  নদীতে বর্ষাকালে পানি বাড়ে ও কমে। নদীর যে জায়গায় ভাঙনের শঙ্কা থাকে, সেখান থেকে মাটি ও বালু নেয়া যাবে না। আর এ বিষয়ে মনিটরিং করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিএইচ