সামান্য বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় খেলার মাঠ। মহাসড়ক সংলগ্ন গেট থেকে কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে যাওয়ার রাস্তাটিও ডুবে যায় পানিতে। ফলে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও এখন পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
সরেজমিনে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের চারপাশের চেয়ে মাঠ নীচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাঠটি জলমগ্ন হয়ে আছে। পানিতে না ভিজতে শিক্ষকরা গেট থেকে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত মোটরসাইকেলে চলাচল করছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজে আসা-যাওয়া করতে জমে থাকা পানি পার হতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, মাঠের পানি নিস্কাশনের জন্য ইতিপূর্বে ছোট আকারের দুটি পাইপ বসানো হয়েছিল। যা বালি মাটি পরে ভরাট হয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে মাঠে পানি জমে থাকে। কলেজ খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে জলাবদ্ধতার কারণে মাঠে নামতে পারছে না। এতে তাদের জামা-কাপড় ভিজে নোংরা হয়ে যায়। এতে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা জানান। এ পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে কলেজ মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, সবিদখালী সরকারি কলেজটি মহাসড়কের পাশে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজটি একটি সরকারি কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি ও অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজটি বহু বছর ধরে সুনামের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
কলেজের শিক্ষার্থী অজুর্ন ঋষি, রাব্বি মল্লিক ও মাহমুদুল হাসান জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই কলেজ মাঠে পানি জমে থাকে। কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করাও যায় না। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
সুবিদখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আকতার উদ্দিন জানান, এখন বর্ষাকাল। বৃষ্টির কারণে মাঠে পানি জমে থাকে। পানি নিস্কাশনের জন্য পাইপ বসানো হয়েছিলো। তা হয় তো বন্ধ হয়ে গেছে। জলাবদ্ধার কারণে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ভোগান্তি নিরসনের জন্য অতিদ্রুত মাঠের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
টিএইচ