রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

খুলনায় বাড়ছে কিডনি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

খুলনা ব্যুরো  

খুলনায় বাড়ছে কিডনি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

খুলনা অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে কিডনি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ২০১০ সালে সরকারি একটি হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের দশ শয্যা নিয়ে কিডনি বিভাগের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সাতটি হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের শয্যা রয়েছে ১৩৮টি। জেলায় রোগীদের পরিসংখ্যান না থাকলেও চিকিৎসকরা বলছেন, ১৪ বছরে রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ। 

আর ব্যয়বহুল কিডনি চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না করার পাশাপাশি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ সেবনে বাড়ছে কিডনি রোগ।

ডায়ালাইসিস যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া এখন বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে ৩৬ বছরের যুবক আলমগীরের। ছয় বছর হলো দুটি কিডনি বিকল হয়েছে তার। সেই থেকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করছেন। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করাতে গিয়ে জীবিকার বাহন, গবাদি পশু, জায়গা-জমি যা ছিল, সব বেঁচে নিঃস্ব তার পরিবার। 

এখন চিকিৎসার জন্য সপ্তাহে দুবার যশোরের কেশবপুর থেকে খুলনার বাস্তুহারা এলাকার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে আসেন। তবে বাসে আসা যাওয়ার খরচ মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।

শুধু আলমগীর নন, কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসার জন্য নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে আসেন অনেকেই। 

তথ্য বলছে, সরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিসে খরচ পড়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকা। তবে রোগীর তুলনায় শয্য সংখ্যা নিতান্তই কম হওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ব্যয় বাড়ছে ৬-৭ গুণ। আর ব্যয়বহুল এই কিডনি চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন অনেকে। 

শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ইনামুল কবীর বলেন, একমাত্র সচেতনতাই পারে কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে। গতবছর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের সেশন চলেছে ১৪ হাজার ১৯টি, এর মধ্যে মারা গেছেন ৯২ জন। আর কিডনি রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৯ হাজার রোগী। 

এদিকে ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় পালিত হয়েছে বিশ্ব কিডনি দিবস। গত বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে দিবসটি উপলক্ষে সচেতনতামূলক র্যালি বের করে নেফ্রোলজি বিভাগ। 

বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতালের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান ডা. মো. ইনামুল কবীর ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহিন। 

টিএইচ