মে দুর্যোগের মাস। প্রতিবছর মে মাস সামনে এলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় থাকে উপকূলের লাখ লাখ মানুষ। আইলা, আম্পান, ইয়াস, ফণি, রোয়ানু, নার্গিসের মতো ১৬টি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মে মাসে উপকূলে আঘাত হানায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় পাউবোর বাঁধ।
এর ফলে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালির বিস্তীর্ণ বেড়িবাঁধ ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিবছর বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ করতে না করতে আবারো ঝড় জলোচ্ছাসে বাঁধ ভেঙে সর্বশান্ত হচ্ছে এখানকার মানুষেরা। ২৪মে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় শক্তি। এর প্রভাবে বর্তমানে উপকূলে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
এতে করে কয়রা, শ্যামগনর, আশাশুনি ও দাকোপের শিবসা, কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদী সংলগ্ন এলাকার লোকজনের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়ে গেছে। বুধবার (২৮ মে) দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় হরিণখোলা, ঘাটাখালি, গোবরা, ৫নং কয়রা, দশালিয়া, কাটকাটার রত্না, ঘড়িলাল, কুড়িকাহুনিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শংকা প্রকাশ করতে দেখা যায় লোকজনের। কয়রার ঘাটাখালি গ্রামের শেখ আফতার উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে যদি জলোচ্ছ্বাস হয় তবে নড়বড়ে বাঁধ আবারো ভেঙে যাবে।
দক্ষিণ বেদকাশির মেম্বর ওসমাণ গণি খোকন জানায়, পাউবোর আংটিহারা পোল্ডারে ২০২৩ সালে ১১শ ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় না হওয়ায় কাজের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদারের ধীরগতির কারণে চলতি বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। ফলে দুর্বল বাঁধ নিয়ে দুর্যোগের সময় ভীত ও শংকিত হয়ে উঠে সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ।
টিএইচ