রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

ডুমুরিয়ায় বিদ্যুতের খুটি রেখেই রাস্তার কাজ

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি

ডুমুরিয়ায় বিদ্যুতের খুটি রেখেই রাস্তার কাজ

খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া মোড়ে রাস্তার বাঁক সোজা করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সওজের জমিতে নতুন ৪ তলা ভবন ভেঙে ফেলা হলেও সম্প্রসারিত রাস্তার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের ৫টি পিলার না সরিয়েই নতুন রাস্তায় পিচ ঢালা হচ্ছে। 

খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ, খুলনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রী তথা ডুমুরিয়া-ফুলতলা থেকে নির্বাচিত এমপি নারায়ণ চন্দের বিশেষ প্রচেষ্টায় খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া মোড়, বালিয়াখালি ব্রিজ মোড়, কাঁঠালতলা মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিপদজনক বাঁক সোজা করার জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে গত কয়েক মাস ধরে নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। 

এরমধ্যে গুটুদিয়ার বাঁকেই সওজের জমিতে নতুন ৪ তলা ভবন থাকায় অনেকদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকে। তবে অনেক আইনি জটিলতা শেষে গত সেপ্টেম্বর মাসে সেই নতুন ভবনটি বুলড্রোজার দিয়ে ভেঙে দেয়ার পর থেকে নতুন সড়কের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতেই চলছে। কিন্তু ওই নতুন সড়কের মাঝ-বরাবর থাকা পল্লী বিদ্যুতের ৫টি খুঁটি আজও অপসারণ না করায় জনমনে বিষ্ময় সৃষ্টি হয়েছে।   

গত শনিবার গুটুদিয়া মোড়ে রাস্তার মধ্যে ওই পিলারে ছবি তুলতে গেলে এলাকার শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, কি বিষ্ময়কর ব্যাপার, যে বাঁকা রাস্তা সোজা করার জন্য কোটি টাকা দামের বিল্ডিং ভাঙা হলো, সেই রাস্তার মাঝখানেই যদি বিদ্যুতের পিলার থাকে তা হলি, এই রাস্তা দিয়ে মানুষের কোন কাজে আসবে? 

খর্ণিয়া এলাকার সাংবাদিক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বালিয়াখালি ব্রিজ মোড়ের দুই পাশে নতুন রাস্তা তৈরির জন্য পল্লী বিদ্যুতের ২২টি খুটি সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ গুটুদিয়া মোড়ে মাত্র ৫টি খুটি এখনও না সরিয়ে রাস্তা তৈরির কোনো মানে হয়?

এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমি দ্রুত সড়ক ও জনপথ এবং পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। আর খুলনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ওই ভাঙা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি এখনও যেভাবে আছে, সেখানে আমরা হাই-ভোল্টেজ লাইন স্থাপন করতে চাইলেও বিদ্যুতের খুটি প্রায় ১০ ফুট রাস্তার ভেতরেই পড়তে পারে। তবে সওজ বিভাগের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। 

সওজ খুলনার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম কাওছার বলেন, ওই ভাঙা বিল্ডিংটির ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানের কারণে খুলনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বিকল্প ব্যবস্থায় লাইন সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত ওই পিলার সরানো হবে।

টিএইচ