সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Post

দীঘিনালায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

দীঘিনালায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন

এবছর বোরো ধানের ফলনে খুশি দীঘিনালার কৃষাণ কৃষাণী। এ বছর খাগড়াছড়ি দীঘিনালার উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টি কম হওয়া গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের ভাল ফলন হয়েছে।

এ বছর পর্যাপ্ত সার এবং কীটনাশক পাশাপাশি সেচের জন্য বিদ্যুৎ ঠিকমতো পাওয়ায় বোরো উৎপাদনে কোন সমস্যা হয়নি। বাংলা নববর্ষের শুরুতে বোরো ধানের আগাম কাটা শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ বোরো ধান চাষ করেছে উপজাতি সমপ্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা।

কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, এবছর কৃষি অফিসে পরামর্শে ও প্রনোদনায় জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল নতুন নতুন জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। উচ্চফলশীল ধানের মধ্যে কৃষকরা বোরো ধান চাষ করেছে বিরি-১০০, বিরি-১০২, বিরি-১০৪, বিরি-১০৫, বিরি-১০৭, বিরি-১০৮। ২০২৫ অর্থবছরে বোরো লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর, কৃষকরা চাষ করেছে ১ হাজার ৯৮৫ হেক্টর। গত বছর ১ হাজার ৯শ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ছিল। পাবলাখালী শান্তিপুর, জয়কুমার কার্বারী পাড়া, তারাবনিয়া, বোয়ালখালী কাঁঠালতলী, বাবুছড়া বিস্তর মাঠ জুড়ে বোরো ধান সোনালী রং ধারন করে আছে। ধান কাঁটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকরা।

তারাবনিয়া বিলে বোরোধান চাষি ধন বিকাশ চাকমা বলেন, গতবছর আউস ও আমন ধান চাষ করে মাইর খেয়েছি পরপর চার বার বন্যা হয়েছে।  ধানের চারা রোপণ করা পরপর বন্যার হওয়ার কারণে আমাদের মাঠের পর মাঠ সব চারা নষ্ট হয়ে যায়। কোথাও ধানের চারা পাই নাই নতুন করে লগানোর জন্য। তবে ঝড় তুফান না হওয়ার কারণে এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমি এককানি (৪০শতক) জমিতে বোরোধান চাষ করছি ২০-২৫ মন ধান পাব আশা করছি।

দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবছর চাষিরা উচ্চফলনশীল জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত বিরি-১০০-১০৮ পর্যন্ত চাষ করেছে কৃষকরা ভালো ফলনও এসেছে। এবছর বোরোধান লক্ষমাত্রার অধিক ফলন হয়েছে। এই ধানগুলো রোগ প্রতিরোধ করা সক্ষমতা অনেক বেশি।  বিরি-১০০ থেকে ১০৮ উচ্চফলনশীল ধানগুলো পুষ্টি ও জিংক সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

টিএইচ