নেত্রকোনার দুর্গাপুর শহরের ব্যস্ততম সড়কের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো খুঁটিগুলোতে এখন শুধুই ঝুলানো তারের জঞ্জাল, কোনো কোনো জায়গাতে তার থাকলেও অস্তিত্ব নেই ক্যামেরার। যেখানে আছে সেগুলোও অকেজো। এইগুলো মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি পৌর কর্তৃপক্ষের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার নিরাপত্তা ও নজরদারিসহ নানা অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ১০ লাখ টাকার বেশী ব্যয়ে ৫৮টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কন্ট্রোলরুম রাখা হয়েছিল থানা ও পৌর কার্যালয়ে। তবে বছর পার না হতেই বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরা বিকল হতে শুরু হয়। যার কারণে পরবর্তীতে কিছু সময়ের ভিতরে সবগুলোই অকেজো হয়ে পড়ে।
সূত্র বলছে, ১৯৯৪ সালে গঠিত ও ২০১৬ সালে খ শ্রেণিতে অন্তর্ভূক্ত হয় দুর্গাপুর পৌরসভা। এখানে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের জনবসত ও ব্যবসা সমৃদ্ধ শহর। ২০২০ সালে শহরটি সিসি টিভির আওতায় আনার পর শহরের আপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই কমে গিয়েছিলো বলে জানিয়েছেন শহরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। কিন্তু সিসি টিভি ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ থাকায় পরবর্তী সময়ে শহরে সবক্ষেত্রেই অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মহল দ্রুত ক্যামেরাগুলো সচলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। সম্প্রতি শহরে চোরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় এখন উদ্বেগ বাসিন্দাদের। তাই আবারও সচলের দাবি তুলেছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী এস.এম তাকদির হোসেন বলেন, ক্যামেরাগুলো যখন চালু ছিল তখন কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা ছিল। বাজারে আমাদের পাহারাদার আছে ক্যামেরাগুলো ভালো থাকলে তারাও ভরসা পেতো কিন্তু এখন কোনো চুরি, ডাকাতি যেকোনো ঘটনা ঘটলেও সনাক্ত করা যাবে না। তাই এইগুলো মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।
মানুষের নিরাপত্তার জন্য লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরাগুলোরও নিরাপত্তা মিলছে না। সচল করা হলেও দুষ্কৃতিকারী চক্রের কারণে টিকিয়ে রাখা যায়না বলেছেন, পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, আমি পৌরসভার দায়িত্ব পাওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।
এর আগেও কয়েকবার মেরামত করা হয়েছিল কিন্তু একটা চক্র নষ্ট করে ফেলে এখন আমরা সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সবগুলো সচল করার চিন্তাভাবনা করছি।
টিএইচ