রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

পাইকগাছায় কুল চাষে সফল সুকনাথ পাল

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

পাইকগাছায় কুল চাষে সফল সুকনাথ পাল

পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে সফলতা পেয়েছে গদাইপুরের রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল। উপজেলার বাঁকা গ্রামে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক বল সুন্দরী, থাই আপেল ও কাশ্মীরি কুলের গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি করেছেন। বাগানে সারি সারি কুলগাছ। কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছগুলো। 

বাঁশ দিয়ে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে। এক একটি গাছ ৫ থেকে ৬ হাত লম্বা। গাছের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত থোকায় থোকায় ঝুলছে শুধু বল সুন্দরী কুল। থাই আপেল কুলের ওপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো, খেতেও ঠিক আপেলের মতো সুস্বাদু। 

এদিকে এই ফলটি খেতে সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ পরিচিতি লাভ করায় ক্রেতাদের চাহিদাও দিন দিন বেড়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০/১২টি কুলের বাগান, ঘেরের ভেড়ীতে, বাড়িতে, ছড়ানো ছিটানো প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে কুল বাগান রয়েছে। 

জানা গেছে, সুকনাথ পাল আড়াই বছর আগে উপজেলার বাঁকা গ্রামে ৩ বিঘা জমি লীজ নিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক বল সুন্দরী, থাই আপেল ও কাশ্মীরি কুলের গাছের চারা লাগান। কুল গাছের চারা রোপন ও অনন্যা খরচসহ তার দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়। চারা রোপণ করার ৭ মাসের মাথায় গাছে ফল ধরে। 

প্রথম কুল বাগান থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকার কুল বিক্রি হয়। দ্বিতীয় বছরে কুলের দাম বেশী পাওয়ায় প্রায় ৩ লাখ টাকার কুল বিক্রি হয়। এ বছর অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে তাছাড়া গাছে ফল কম হয়েছে আর দামও কম। প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে কুল বিক্রি হচ্ছে। গাছে প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি করে বল সুন্দরী, থাই আপেল কুল ধরেছে। ইতোমধ্যে বাগান থেকে কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা বাগানে কুল তোলা ও বাজারজাত করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার মতো ফল বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এই বাগান থেকে দেড় লাখ টাকার বেশী কুল বিক্রি করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। 

পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসিম কুমার দাশ বলেন, এ উপজেলায় কিছু কিছু নার্সারিতে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন। এরমধ্যে সুকনাথ পাল একজন সফল কৃষক। নতুন জাতের এই কুলের চাষ করে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। 

কুলের আবাদের জন্য চাষের জমির খুব একটা প্রয়োজন হয় না। বাগান আকারে চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি ভালো। পতিত জমিতে চাষ করে কৃষিতে নতুন বিপ্লব সম্ভব। তিনি কুল চাষে আগ্রহীদের সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

টিএইচ