বরিশাল বিভাগজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য রয়েছে মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এ অঞ্চলে মানসিক রোগী সংখ্যা যেমনি বেশি তেমনি আত্মহত্যাকারীর সংখ্যাও অনেক বেশি। বরিশাল বিভাগে চলতি বছরের গত চার মাসে পারিবারিক কলহ, মানসিক সমস্যা, হতাশা, অভিমান এবং আত্মহত্যা, বিষপান, গলায় ফাঁস, পানিতে ডুবে, বিদুতস্পৃষ্টসহ অন্য ঘটনায় ৫৪৬ জনের অপমৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারীদের আত্মহত্যার ঘটনা। তবে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলায়। ফলে আত্মহত্যা প্রতিরোধের চেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েই চলছে।
বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত জানুয়ারী মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে ১৩৫ জন তার মধ্যে জানুয়ারীতে ৩৩, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩, মার্চে ৩২, এপ্রিলে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আত্মহত্যাজনিত অপমৃত্যু ১৯৯ জন তার মধ্যে জানুয়ারিতে ৫৩, ফেব্রুয়ারীতে ৪৮, মার্চে ৪৩, এপ্রিলে ৫১।
তার মধ্যে পুরুষ ৯৮ এবং নারী ১০১ জন। বিষপানে জানুয়ারিতে ১৪, ফেব্রুয়ারিতে ১৫, মার্চে ১১, এপ্রিলে ১২ সহ মোট ৫২ জন। পানিতে ডুবে ১০৫ জন তার মধ্যে জানুয়ারিতে ২৩,ফেব্রুয়ারীতে ২১, মার্চে ২১, এপ্রিলে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে জানুয়ারিতে ০৩, ফেব্রুয়ারিতে ০৭, মার্চে ০৯, এপ্রিলে ১২ সহ মোট ৩১ জন। বজ্রপাতে ৩ জন, ছাদ থেকে পড়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্য ঘটনায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়।
এসব ঘটনায় বরিশাল জেলায় ৩৫ জন, পটুয়াখালীতে ১২১ জন, ভোলায় ১২৪ জন, পিরোজপুরে ৭৮ জন, বরগুনায় ৮৫ জন এবং ঝালকাঠিতে ৩৪ জন রয়েছেন। এ ঘটনায় মোট করা হয়েছে ১০টি অপমৃত্যু মামলা।
সূত্রমতে, শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরিত বিভাগের বিভিন্ন থানা পুলিশের লাশের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক সুরাতহাল রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে আত্মহত্যাকারীর অর্ধেকেরও বেশী মানসিক রোগী কিংবা বিভিন্ন কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পরে বিষপান অথবা গলায় ফাঁস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
টিএইচ