শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Post

ভাঙ্গুড়ায় কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন ইউএনওর

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

ভাঙ্গুড়ায় কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন ইউএনওর

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচি ও  গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষাণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ৬৯টি প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলেছে। ইউএনও নাজমুন নাহার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার ফেরদৌস আলম নিয়মিত এসব প্রকল্প তদারকি করছেন।

গত মঙ্গলবার সরেজমিন দিলপাশার ও পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে এসব প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দেখা যায়। একইভাবে চলছে অন্যসব ইউনিয়নের প্রকল্পগুলো।

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাবিটা প্রকল্পে ৮৬ লাখ এবং রক্ষণাবেক্ষণ অবকাঠামো প্রকল্পে ৮৪  লাখ  টাকা বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে ৪০টি প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট প্রকল্প জুন মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মো. ফেরদৌস আলম জানান, উপজেলার গ্রামীণ যোগায়োগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন ও বিভিন্ন সংস্কার কাজের জন্য প্রকল্পগুলো গৃহীত হয়। ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা বাস্তবায়নের কাজ করছেন। তিনি বলেন, কাবিটা প্রকল্পে কাজের শুরুতেই অর্ধেক বিল প্রদানের সুযোগ আছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্পের সম্পূর্ণ বিল ছাড় করা হয়নি। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর পুরো বরাদ্দ প্রদান করা হবে। প্রতিটি প্রকল্পে শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে ৪০টি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং তিনি প্রকল্প নিয়মিত পরিদর্শন করছেন বলেও জানান।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের  ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রথম ও ২য় পর্যায়ে  গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার ( টিআর/কাবিটা নগদ অর্থ) প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি চুক্তিনামা সম্পন্ন করে ৫০% অগ্রিম বরাদ্দের জন্য চাহিদা পত্র দাখিল করেন।

এর ভিত্তিতে পরিপত্র অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য ৫০% বিল ছাড় করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ চলমান  আছে। তিনটি প্রকল্পের কাজ ফসল থাকায় শুরু করা সম্ভব  হয়নি, সামনে ফসল উঠলে কাজ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত বিল ছাড় করা হবে না। এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ সমাপ্ত হলেই চূড়ান্ত বিল ছাড় করা হবে। কাজ না করে সম্পূর্ণ বিল উত্তোলন করার কোনো সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করেই কাজ করা হচ্ছে। কতিপয় সংবাদকর্মী এই প্রকল্পের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছেন যা প্রশাসনের কাম্য নয়। তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না হয়ে তিনি সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

টিএইচ