রাজবাড়ীর কালুখালীতে হাওলাতি টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ডেকে এনে ফাহিমা (৪১) নামে এক প্রবাসফেরত গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ফাহিমা ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামের সেকেন ফকিরের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ মো. আব্দুর রহিম মণ্ডল (৫৬) নামে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছেন।
মো. আব্দুর রহিম মণ্ডল জেলার কালুখালী উপজেলার জাগিরকয়া গ্রামের মৃত তাছের আলী মণ্ডলের ছেলে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর কালুখালী উপজেলার কাওয়াখোলা গ্রামের বাবু শিকদারের ধানক্ষেতের ভিতর একজন অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কালুখালী থানা পুলিশ বাদী হয়ে গত ৭ অক্টোবর একটি হত্যামামলা করেন। তদন্তে এ ঘটনায় জড়িত আসামি মো. আ. রহিম মণ্ডলকে গত মঙ্গলবার কালুখালী থানার বড়ইচারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, আসামী রহিম পুলিশের নিকট স্বীকার করে অর্ধগলিত মৃতদেহটি ফাহিমার। তারা ৩ বছর পূর্বে একই সঙ্গে কাতারে ছিল। কাতারে থাকা অবস্থায় ফাহিমা তার কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা হাওলাত নেয়। দু’জনই দেশে আসার পর তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।
কিন্তু ফাহিমা পাওনা টাকা দিতে তাল-বাহানা করায় মো. আ. রহিম মণ্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামি গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোবাহান মন্ডলের ধানক্ষেতে এনে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মৃতদেহটি গুম করার জন্য মামলার ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে।
পরে রহিমের দেয়া তথ্য ও সনাক্তমতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত ওড়না, মোবাইল ফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভিকটিমের ছবিসহ অন্য আলামত উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, কালুখালী থানার ওসি প্রাণ বন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
টিএইচ